নবকুমার:
ঈদের আর মাত্র বাকী ৪ দিন। সারা দেশে গরু ক্রয় বিক্রয়ের ধুম পড়েছে। প্রতিবছর ইদুল আযহাকে সামনে রেখে যে পরিমাণ গরুর চাহিদা থাকে তা বাংলাদেশী গরু দিয়ে মেটানো যায় না। মুসলমানদের কোরবানীর চাহিদা মেটাতে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারত নেপাল ভুটান পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গরু আমদানি করা হয় ।
প্রতিবছর কোরবানী ঈদে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি গরু আসে ভারত থেকে। এবার সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবি’র কঠোর অবস্থানের কারণে এখন ভারত থেকে গরু আসছে না। ভারতীয় গরু না থাকায় অনেকটা হতাশ ক্রেতারা।
ভারতীয় গরু না আসায় রাজধানীর গাবতলী, কুষ্টিয়া ,যশোর,রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পশুর হাটে চড়া দাম।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সীমান্তবর্তী হাটগুলোসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিট-খাটালগুলো দিয়ে ভারতীয় গরু না আসায় এর প্রভাব পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ সারা দেশে। চাপাইনবাবগঞ্জের বৃহৎ পশুহাট তক্তিপুর, সোনাইচন্ডি ও বটতলা হাটে। চাহিদার তুলনায় গরু কম থাকার সুযোগে ব্যবসায়ীরা গরুর দামও হাঁকছেন বেশি। ফলে গতবারের চেয়ে এবার গরু বেচাকেনা হচ্ছে দেড় থেকে দিগুণ দামে।
জানা গেছে , চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আনা গরু মূলত বিক্রি হয় জেলার অন্যতম পশুহাট শিবগঞ্জ উপজেলার তর্তিপুরে, সদর উপজেলার বটতলাহাটে এবং নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডি হাটে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গবাদীপশুর বিট খাটালগুলো বন্ধ থাকায় এবং সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবি’র কড়াকড়ির কারণে এখন ভারত থেকে গরু আসছে না। আর কম গরু আসার কারণে আসন্ন কোরবানির ঈদে দেশি গরু বেশি দামে বেচা-কেনা হচ্ছে। এতে বিক্রেতারা খুশি হচ্ছেন। এই অবস্থায় দেশি এবং ভারত থেকে আসা গরুর দামও বেড়ে গেছে। এবার গরু গতবারের দামের চেয়ে দেড়গুণ থেকে দিগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন।
এদিকে ভারতীয় গবাদিপশু আমদানি ও বিট সেশন কর্মকর্তারা জানান , বিট-খাটালগুলোর বৈধ মালিকানা না থাকায় ভারতের গরু ব্যবসায়ীরা আস্থা রাখতে পারছে না। ফলে তারা সীমান্ত পথে গরু না দেয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু বেশি আসলে কোরবানির পশু সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে দামও সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। তা না হলে বেশি দামে দেশি গরু কিনেই কোরবানি দিতে হবে।